আমরা সবাই চাই আমাদের সন্তান তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন ও মেধাবী হোক। এ জন্য শিশুর খাবারের প্রতি আমাদের অবশ্যই অত্যন্ত যত্নবান হতে হবে। শিশুর মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে যেসব খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা হলো :

১. ডিম : ডিমকে প্রোটিনের সবচেয়ে ভালো উৎস মনে করা হয়। প্রতিদিন ডিম খেলে বাচ্চাদের মস্তিষ্কের বিকাশ সম্ভব হয়। ডিমে উপস্থিত কোলিন মস্তিষ্কের কার্যকরিতা বৃদ্ধি করে।

২. আখরোট : এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কের জন্য উপকার। এই আখরোট দেখতেও মস্তিষ্কের মতো। প্রতিদিন ১টি আখরোট খেলে মস্তিষ্ক দ্রুতগতিতে কাজ করতে পারে। পাশাপাশি এই শুকনো ফলটি স্মৃতিশক্তি ভালো করে অবসাদ দূর করতেও সাহায্য করে।

৩. সবুজ শাকসবজি : একটি গবেষণা অনুযায়ী সবুজ শাকসবজি স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা দূর করে। সবুজ শাকপাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে, প্রোটিন, ফোলেট ও বিটা ক্যারোটিন উপস্থিত থাকে, যা মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে উপকারী।

৪. ঘি : প্রতিদিন সকালে শিশুকে খাবারের সঙ্গে এক চামচ ঘি দেওয়া উচিত। এই ঘি বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি মজবুত করতে সাহায্য করে।

৫. চিয়া বীজ : এই বীজে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের জন্য অতি উপকারী। রাতে এক চামচ চিয়া বীজ পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিন। পরের দিন সকালে সেই পানি পান করলে স্মৃতিশক্তি বাড়তে পারে।

৬. আভাকাডো : মস্তিষ্কের কার্যকরিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে আভাকাডো। এতে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট উপস্থিত, যা মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। এতে উপস্থিত ওলিক অ্যাসিড মাইলিনকে নিরাপত্তা প্রদান করে। মাইলিনের সাহায্যে মস্তিষ্ক ২০০ মাইল প্রতিঘণ্টা বেগে সূচনা পৌঁছে দিতে পারে। এই ফলে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকে, যা বাচ্চাদের উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি কমায়।

৭. ওটস: আবার ওটস খাওয়ালেও শিশুদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ে। ওটসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, জিঙ্ক, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকে। এতে উপস্থিত ফাইবার শিশুর শরীরে শক্তি জোগায়।